Thursday, August 18, 2022

বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট এন্ডোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার ছোটখাটো বিধি-বিধান

 শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত, ব্যবসায়ীক কাজ প্রভৃতি কারণে আমাদের বিদেশে ভ্রমণ করতে হয়। কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা একজন বাংলাদেশী ভ্রমণকারী দেশের বাইরে খরচ করার জন্য বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে তা নির্ভর করে ভ্রমণকারী  কি উদ্দেশ্যে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তার উপর। একজন বাংলাদেশী ভ্রমণকারী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমন করে সেই ক্ষেত্রে সে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যেতে পারে আবার যদি সে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে অথবা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে ভ্রমণ করে তার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়, বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে জানা থাকলে বিদেশে ভ্রমণের প্রাক্কালে ছোটখাটো ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। নিম্নে বিভিন্ন পর্যায়ে বিদেশে ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণে সাধারণনিয়ম নীতি  ব্যাখ্যা কর হল:


(১) ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ


ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করার সময় একজন ভ্রমণকারী তার বৈধ পাসপোর্ট ব্যাংকে অথবা মানি চেঞ্জার এর কাছে প্রদান করতে হয় এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অথবা মানি চেঞ্জার তার পাসপোর্ট এবং টিকিটে এনডোর্সমেন্ট মাধ্যমে  বৈদেশিক মুদ্রা প্রদান করেন। ২০০ ডলারের বেশি নিতে চাইলে ভ্রমণকারীর বৈধ ভিসার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের বিদেশে ভ্রমনের জন্য পাসপোর্ট এনডোর্স বাধ্যতামূলক তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নেয়া যায় । যেমন ডিপ্লোম্যাট, প্রিভিলেজ পারসন  এবং অফিসের কাজে ভ্রমণ করা সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এন্ড্রোসমেন্ট প্রয়োজন হয়না অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এন্ড্রোসমেন্ট ব্যতিরেকে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণ সম্ভব। বৈদেশিক মুদ্রা  ছাড়করণে ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ করতে হয়। ব্যক্তিগত প্রয়োজন বিদেশে ভ্রমণ করা বাংলাদেশি নাগরিকগণ প্রতিবছর ১২০০০ ইউ এস ডলার অথবা তার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট  এন্ড্রোসমেন্টের  মাধ্যমে নিতে পারে । প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে নোট আকারে অর্থাৎ নগদ (ক্যাশ ফ্রমে)  ইউ এস ডলার সর্বোচ্চ ৫ হাজার পর্যন্ত নেয়া যায় বাকি ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা ইন্টার্নেশনাল ক্রেডিট কার্ডে পাসপোর্ট এন্ড্রোসমেন্টের   মাধ্যমে ভ্রমণকারী তার সাথে নিয়ে যেতে পারে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে: বাৎসরিক ট্রাভেল  কোটার অর্ধেক প্রাপ্য । প্রতি বার ভ্রমণের সময় একজন ভ্রমণকারী চাইলে বাংলাদেশী টাকা ১০,০০০পর্যন্ত সর্বোচ্চ  সাথে  নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা যেসব দেশে পোর্ট এন্ট্রি অথবা এরাইভেল ভিসা পেয়ে থাকেন সে সকল দেশের ভ্রমণের ক্ষেত্রে অব্যবহৃত ট্রাভেল কোটা উপরে বর্ণিত নিয়ম ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে  পারেন। সে ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করার সময় পাসপোর্টে ভিসার প্রয়োজন হয়না তবে পাসপোর্টের ভ্যালিডিটি ন্যূনতম  ৬ মাস থাকতে হয়।



(১.১) ব্যাংকের প্রয়োজনীয় অসতর্কতা


আবেদনকারীকে অবশ্যই ব্যাংকের কাছে পরিচিত হইতে হবে অথবা Bonafide আবেদনকারী কিনা তা সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করা ; আবেদনকারীর টিকেট কনফার্ম কিনা ; আবেদনকারী যদি একাধিক বার বিদেশে ভ্রমণ করে এবং পাসপোর্ট এনডোর্সের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করে সেই ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ভ্রমণ এবং  ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রদেয়  বৈদেশিক মুদ্রা যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা : সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পাসপোর্ট এর প্রস্থান  এবং এরাইভেল সিল সম্মিলিত পেজ ভালো করে দেখা; সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে যেহেতু বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকে অবশ্যই বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইস্যুকৃত জিও কপি সংরক্ষণ করতে হবে ; TM ফর্ম ,পাসপোর্ট এর কপি, টিকেট এর কপি(ভ্রমণকারীর নাম, প্রস্থানের তারিখ, ভ্রমণের রোড সম্বলিত পেইজ) সংরক্ষণ করা  প্রভৃতি ।


(১.২) পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট এর ক্ষেত্রে একজন ভ্রমণকারী কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারে


দেশে ফেরত আসার পর অব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে পারে অথবা অথবা তার নামে যদি আরএফসিডি একাউন্ট থাকে সে অ্যাকাউন্টে জমা করতে পার; যারা স্থায়ীভাবে বিদেশের বসবাসের উদ্দেশ্যে  ওয়ান ওয়ে টিকিটের মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণ করে তারা তাদের বাৎসরিক ট্রাভেল কোটা পুরোটা ব্যবহার করতে পারেন; ছাত্র-ছাত্রীরা স্টুডেন্ট ফাইল এর বাইরে অব্যবহৃত ট্রাভেল কোটার পুরোটা ব্যবহার করতে পারে। যদি কোন কারণে  ভ্রমণকারী ট্রাভেল কোটার অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইন্টার্নেশনাল কার্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত উত্তোলন করে বা খরচ করে এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীর RFCD একাউন্ট এর মাধ্যমে সমন্বয় করা যায়। যদি তার RFCD একাউন্ট না থাকে সেই ক্ষেত্রে পরবর্তী বছরের ট্রাভেল কোটা  সাথে সমন্বয় করতে পারে। ভ্রমণকারী যে কোন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি নিয়ে আসতে পারে তবে ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে FMJ ফর্মে ডিক্লারেশন দিতে হয। পরবর্তীতে ১০হাজার ডলারের বেশি ভ্রমণকারীর বৈদেশিক মুদ্রার একাউন্টে জমা করতে চাইলে অরিজিনাল FMJ ডিক্লারেশন  ব্যাংকে জমা করতে হয় এখানে উল্লেখ্য যে, যেকোনো ভ্রমণকারী চাইলে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত নোট আকারে ভ্রমণের পরবর্তী যেকোনো সময়ের জন্য নিজের কাছে রাখতে পারে।


(২) চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে ভ্রমণ


একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে চায় সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই মেডিকেল বোর্ডের রেকমেন্ডেশন সহ  আবেদন ফরম(Appendix 5/83) পূরণ করে ব্যাংকের এডি শাখায় দুই কপি প্রদান করতে হয়। এখানে মেডিকেল বোর্ড বলতে স্বাস্থ্য পরিচালক (Health director) অথবা যথাযথ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে বুঝায়। বৈদেশিক হাসপাতালে প্রাক্কলিত খরচ এর উপর ভিত্তি করে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত কোনো রকম অনুমতি ব্যতিরেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে ভ্রমণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা release  করতে পারে। চিকিৎসা ব্যয় ১০ হাজার ডলার এর বেশি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপারমেন্ট থেকে ব্যাংকের এডি শাখার মাধ্যমে অনুমতি নিতে হয়।


(৩) সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল এবং সেমি অফিশিয়াল ভ্রমণ



সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল এবং সেমি অফিসিয়াল ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত গভমেন্ট অর্ডার, নোটিফিকেশন, সার্কুলার প্রকৃতিতে উল্লিখিত বৈদেশিক মুদ্রার সমপরিমাণ ব্যাংকের এডি শাখার মাধ্যমে ক্রয় করে সাথে নিয়ে যাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টের  প্রয়োজন হয় না।



(৪) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ককপিট এবং কেবিন ক্রু অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করণ 


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ককপিট কেবিন ক্রু পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টের  মাধ্যমে বৈদেশিক  ভাতা বৈদেশিক মুদ্রায় অবমুক্ত করা যায়। ব্যাংকের এডি শাখা অথবা মানি চেঞ্জার উভয়ই পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অবমুক্ত করতে পারে । এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য করা বাঞ্ছনীয়:


(৪.১) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তিক বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ উল্লেখ পূর্বক কেবিন ক্রু অনুকূলে ইস্যুকৃত অনুমোদন পত্র;

(৪.২) কেবিন ক্রুর পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ছাড় করণ।


(৫) সেমিনার, কনফারেন্স, ওয়ার্কশ, ট্রেনিং এ অংশগ্রহণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ছাড় করণ


বিদেশে সেমিনার, কনফারেন্স ,ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং প্রভৃতিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণকারীদের বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান থেকে ইনভাইটেশন লেটারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে পারে। এই ক্ষেত্রে অফার লেটার অংশগ্রহণকারীর নিজের নামে অথবা অংশগ্রহণকারী নিয়োগকর্তার নামে ইস্যু হওয়া বাঞ্ছনীয়:


(৫.১) SAARC ভুক্ত দেশ এবং মায়ানমারের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩৫০ডলার এবং 

(৫.২) অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৪০০ ডলার হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করা যায। 


(৬) ব্যবসায়িক ভ্রমণ কোটার এনটাইটেলমেন্ট


ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাংলাদেশি রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, দেশীয় বাজারের জন্য প্রস্তুতকারক,  এবং বাংলাদেশি এজেন্ট যাদের প্রিন্সিপাল দেশের বাইরে অবস্থিত তারা বিজনেস কোটায় বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ ভ্রমণের প্রাক্কালে ক্রয় করতে পারেন। ব্যবসায়ী ভ্রমণ কোটার সীমা বাৎসরিক ১০,০০০ ডলার যা নিম্নলিখিত নিয়ম এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করা যায়:


(৬.১) প্রতিদিন চারশত ডলার করে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ  ৪ হাজার ডলার ;

(৬.২) ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র লেভেলের বৈদেশিক কর্মকর্তা যাদের বৈধ  ভিসা এবং যথাযথ ওয়ার্ক পারমিট আছেন তারা এই কোটা ব্যবহার করতে পারে।


উপরোল্লেখিত প্রত্যেকটি কোটায় স্বতন্ত্র একজন ভ্রমণকারী তার প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিক কোটা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা রূপান্তর করতে পারেন। তাছাড়া ভ্রমণকারীর প্রাইভেট এফসি একাউন্ট, আরএফসিডি একাউন্ট, রিটেনশন কোটা একাউন্ট  এবং কনভার্টিবল টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো  সীমার বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে ভ্রমণের  প্রাক্কালে রূপান্তর করাতে পারে, তবে নোট আকারে সর্বোচ্চ ৫০০০ ইউএস ডলার পর্যন্ত রূপান্তর করা যায়। রিকনভার্সন(পুনঃরূপান্তর) এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা বিদেশি নাগরিকরা তাদের পাসপোর্ট এন্ডোর্স করতে পারেন এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আসার প্রাক্কালে তারা যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসে তার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা প্রদান করা যায় না এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে FMJ  ফর্মে  অরিজিনাল কপি সংরক্ষণ করে । নোট আকারে ৫০০০ইউ এস ডলার পর্যন্ত রূপান্তর করতে পারে বাকিটা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা অথবা TC  মাধ্যমে প্রদান করা যায়।



Source:Guidelines for Foreign Exchange Transactions (GFET), 2018 Vol 1 


RELATED LEARNING :


বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট এন্ডোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার ছোটখাটো বিধি-বিধান

  শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত, ব্যবসায়ীক কাজ প্রভৃতি কারণে আমাদের বিদেশে ভ্রমণ করতে হয়। কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা একজন বাংলাদেশী ভ্রমণকারী...